বিআরটিএ-এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তার গ্রাহক হয়রানি-দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
বি এ রায়হান
গ্রাহক সেবার নামে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উত্তরা বিআরটিএ-এর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে। ১৯৯২ সালে তৃতীয় শ্রেণি পদে চাকরি নেওয়ার পর থেকেই বে-পরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। গ্রাহক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ তার অত্যাচার থেকে রেহাই পায়না বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বিআরটিএ-এর কর্মকর্তা জানায়, আব্দুস ছালাম তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী থাকাকালীন যশোর বিআরটিএ অফিসে ২০০৮ সালে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে যৌথবাহিনী তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তিনি গত আট বছর যাবৎ বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটিয়ে বিআরটিএ মিরপুর ও উত্তরা অফিসে তার রাজত্ব কায়েম করেন।
এছাড়াও উত্তরা দিয়াবাড়ি সংলগ্ন নিমতলীর টেক এলাকায় ছয় কাঠা জমির উপর ৯তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এখানেও নানান অনিয়ম ও অভিযোগ উঠে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি অফিসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই চলে যান তার নিজ নির্মাণ কাজ তদারকি করতে। এদিকে গ্রাহকদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। গ্রাহক হয়রানি ও দুর্ব্যবহার নিয়ে একাধিক অভিযোগ করলেও তেমন কোন সমাধান করেনি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা একাধিক গ্রাহক রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন। কথা হয় বিআরটিএ থাকা দালালদের সাথে। একাধিক দালাল জানায়, আব্দুস সালাম স্যারের কাছে কোন ফাইল
দেখাতে গেলে আগেই টাকার কথা বলে। আমরা টাকা কম দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। গ্রাহক নিজে আসলে তখন শুরু হয় তার সকল নিয়ম-কানুন। আইনের বই বের করে আইন দেখানো হয় কয়েক হাজার। তাছাড়া প্রতিদিনই গ্রাহকদের সাথে ঝগড়া লেগে যায়।
মটরযান পরিদর্শক মো. জহির উদ্দিন বাবরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, গত বৃহস্পতিবার একটি ফাইল নিয়ে স্বাভাবিক কথা
হলে হঠাৎ করে আব্দুস সালাম সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। পরে, একপর্যায়ে পুরো অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও
চলে আসেন। এতে অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে লজ্জিত হয়েছি।
উত্তরা বিআরটিএ-এর সহকারি পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল আযম জানায়, সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক অনেক অভিযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও সেবা নিতে আসা গ্রাহকরাও অতিষ্ঠ হয়ে যায় তার হয়রানি দূর্ব্যবহারে।